তারকা তো সেই, যে কিনা সাধারণ মানুষদের থেকে একটু বেশি অসাধারণ। যারা শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন, তারাই আমাদের সাধারণ চোখে হয়ে ওঠেন বড্ড বেশি অসাধারণ। তবে সেই কথা দিয়ে যদি বিচার করা হয় তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সত্যিকারের এক তারকার জন্ম হয়েছে। যে কিনা শত বাঁধা ও প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে ক্রিকেটকে বুকের মাঝে আকড়ে ধরে আছেন। তাকে আটকানোর সাধ্য যেন কারো নেই। ক্রিকেটের প্রতি তীব্র ভালোবাসা এবং বুকের মধ্যে জমে থাকা অসীম সাহসই তাকে ক্রমশই যেন অদম্য করে চলেছে। এতোক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। তিনি আর কেউ নন, কোটি মানুষের প্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আজ এই অদম্য ক্রিকেটারের ৩৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৮৩ সালের আজকের দিনেই অর্থাৎ ৫ অক্টোবর যশোরের নড়াইলে জন্ম হয় মাশরাফির। জন্মদিনে তাকে জানাই অসংখ্য শুভেচ্ছা।
তবে শুধু মাশরাফিরই নয়, মজার বিষয় হলো ছেলে সাহেলের জন্মও একই দিন। মাশরাফি নিজেই বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, ভাগ্যবান বাবা তিনি। ২০১৪ সালের একই দিন ঢাকায় জন্ম তার ছেলে সাহেলের।
ছোট বেলা থেকেই ছিলেন দুরন্ত। সারাক্ষণ মেতে থাকতেন বন্ধুদের নিয়ে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন ক্রিকেট খেলতে। বাকি সময়টা চলতো ব্যাডমিন্টন আর চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। এভাবেই একদিন সুযোগ পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই ক্যারিয়ার বদলে যায় মাশরাফির। যে কারণে, তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। বৃষ্টিবিঘ্নিত হওয়ার কারণে বোলিং করার সুযোগ পেলেন মাত্র এক ইনিংসে, ৩৬ ওভার। একই বছর ২৩ নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সঙ্গে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সঙ্গে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন মাশরাফির প্রথম শিকার! সেই যে শুরু পথচলা, এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৬টি বছর পার করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল