ইতোমধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে নিজেদের পথচলা শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র করে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নিয়ে ২-২ ব্যবধানে তা শেষ করে ইংল্যান্ড। তাই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে পথ চলা শুরু হলেও সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ রয়েছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড উভয় দলেরই । এবার সেই বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চায় তারা। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। সিরিজ জয়ের মিশন নিয়ে মাঠে নামছে তারা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।
চলতি বছরের পহেলা আগস্ট অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের পথচলা শুরু হয়। নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ খেলতে নেমেছিলো ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট ২৫১ রানে জিতে নেয় অসিরা। দ্বিতীয়টি ড্র হয়। উত্তেজনাপূর্ণ তৃতীয়টি ১ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে ইংল্যান্ড। তবে চতুর্থ ম্যাচ ১৮৫ রানে জিতে সিরিজে আবারো লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। তাই অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পঞ্চম ও শেষ টেস্ট ১৩৫ রানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ফলে টেস্ট সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ হয়।
একই মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৪ আগস্ট থেকে গল-এ সিরিজ শুরু করে দু’দল। প্রথম টেস্ট ৬ উইকেটে জিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করে কিউইরা। কলম্বোতে ঐ ম্যাচে ইনিংস ও ৬৫ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। এতে সিরিজটি ১-১ সমতায় শেষ হয়।
তবে এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথম সিরিজ জিততে মরিয়া নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথম টেস্ট সিরিজে দল ভালো করেছে। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে সিরিজ হারেনি দল। এখন আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়। ইংল্যান্ড ভালো ফর্মে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে সিরিজ সমতায় শেষ করে। তাই সিরিজ জিততে হলে আমাদের সেরা পারফরমেন্স করতে হবে। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আমরা খেলতে নামবো।’
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুটেরও। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। সিরিজ জিততে না পারলেও, খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মত। ঐ সিরিজের পারফরমেন্স আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। এখানে বল বেশি সুইং করে। তবে আমরা এই কন্ডিশনের সাথে পরিচিত। আর খেলোয়াড়রাও ফর্মে রয়েছে। তাই সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদি।’
টেস্ট লড়াইয়ের আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ সুপার ওভারে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও নিউজিল্যান্ডকে সুপার ওভারে হারিয়েছিলো ইংলিশরা। ঐ সুপার ওভারটি টাই হয়। কিন্তু নিয়মানুযায়ী ম্যাচে বেশি চার-ছক্কা মারায়, ফাইনাল জয়ের স্বাদ নেয় ইংল্যান্ড।