ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগে দক্ষিণ ভারতের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া লস্কর’ হুমকি দিয়েছিল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনআইএ) তাদের গোয়েন্দা রিপোর্টে জানিয়েছিল, দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ আরও কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির প্রাণনাশের চেষ্টা করছে কেরালার ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। সন্ত্রাসবাদীদের সেই তালিকায় নাম ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। তারপর থেকেই কোহলির সঙ্গে থাকছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। কোহলির ছায়াসঙ্গী হিসেবেই সেই নিরাপত্তারক্ষী ঘুরছেন।
ভারত অধিনায়ক কোহলি এবং ভারতের সহ অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে মঙ্গলবার কলকাতায় পৌঁছান। কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা গেছে বিরাট কোহলি তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছেন। দক্ষিণ ভারতের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হুমকির পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ভারত অধিনায়কের। তার নমুনা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে কোহলির কলকাতায় গোলাপি বলের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ খেলতে আসা।
মঙ্গলবার ধাপে ধাপে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কলকাতায় পৌঁছেছেন। সকালে সাড়ে ৯টার মধ্যেই মুম্বাই থেকে কলকাতায় পৌঁছেছেন অধিনায়ক কোহলি এবং সহ অধিনায়ক রাহানে। তারপর নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাদুয়েক দেরিতে কলকাতায় পৌঁছায় ইন্দোর থেকে কলকাতাগামী চার্টার্ড ফ্লাইট। সেই বিমানেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এসেছেন ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী সহ গোটা সাপোর্ট স্টাফরা। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে এসেছেন আরও কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার।
রোহিত শর্মা মঙ্গলবার গভীর রাতে কলকাতায় পৌঁছান । তবে বুধবার সকালে কলকাতায় পৌঁছান সামি, উমেশ যাদবরা। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বিরাট কোহলি দলবল নিয়ে নামবেন ইডেনে। প্রথম দিনের অনুশীলনেই গোলাপি বলের সঙ্গে ফ্লাড লাইটের সংমিশ্রণ পরখ করে নেবে ভারতীয় দল। ইতিমধ্যেই ইন্দোরেই প্রথম টেস্ট তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ায় গোলাপি বলের সঙ্গে নিজেদের পরিচয় করিয়ে নিয়েছেন বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার।