হোলকার স্টেডিয়ামে আজ বিকেলের অনুশীলনে মেহেদী হাসান মিরাজকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ইন্দোর টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৫৯ রানের একটা জুটি হয়েছিল মিরাজের। জুটিটা আরও লম্বা হতে পারত যদি এই অলরাউন্ডার আরও কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারতেন মুশফিককে।
একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান যখন দাঁড়িয়ে যান উইকেটে, লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের কাজ তাঁকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যান মিরাজকে মুশফিক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সন্ধ্যায় ২২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার সাংবাদিকদের বললেন, ‘মুশফিক ভাই আমার সঙ্গে ব্যাটিং নিয়েই বেশি কথা বলেন। আমার যতগুলো বড় জুটি হয়েছে সবই মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে। ওনার সঙ্গে আমাদের সমন্বয়টা ভালো হয়। তিনি আমাকে বলছিলেন, এখানে ভালো বলের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। যত ভালো দলের সঙ্গে খেলব তত ভালো বলের সংখ্যা বেশি হবে। ভালো বল খেলে যতটা টিকে থাকা যায়, যতটা ভালোভাবে নিজেকে তৈরি করা যায়। আগ থেকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে এবং বেশি বেশি অনুশীলনের পরামর্শ দিয়েছেন।’
ব্যাটিংয়ে ভূমিকা রাখতে তো হবেই, মিরাজের মূল কাজ যেটি, বোলিংয়েও দুর্দান্ত কিছু করতে হবে। ইন্দোর টেস্টে যেটি খুব একটা দেখা যায়নি। ২৭ ওভারে ৪.৬২ ইকোনমিতে ১২৫ রান দিয়েছেন। পেয়েছেন ১ উইকেট। গোলাপি বলে মিরাজের চ্যালেঞ্জ আরও বড়। ইডেনের ঘাসের উইকেটে স্পিনারদের করার তেমন কিছু থাকবে না।
চ্যালেঞ্জ যেটাই হোক মিরাজ সেটি নিতে তৈরি। এরই মধ্যে তিনি বুঝে গেছেন লাল ও গোলাপি বলের পার্থক্য। মিরাজ বললেন, ‘শুরুর দিকে এই বলে বেশ সুইং থাকতে পারে। এমনকি স্কিডও করতে পারে। আজ ব্যাটিং করার সময় দেখলাম মাঝে মাঝে বল স্কিড করছে। লাল বলের তুলনায় বেশ আলাদা। ম্যাচে গেলে অন্যরকম আচরণও করতে পারে।’
বল যেমনই আচরণ করুক, মিরাজের মূল লক্ষ্য রান কম দেওয়া। ইন্দোর টেস্ট তিন দিনে শেষ হয়ে যাওয়ায় এ শহরে দুদিন গোলাপি বলের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। কাল সকাল মিরাজরা চলে যাচ্ছেন কলকাতায়।