কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল শনিবার নয়টি ট্রলারে করে ৮০২ দশমিক ৫৩৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে। সাতজন ব্যবসায়ী এই পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস শুরু হয়েছে। তবে খালাসের অপেক্ষায় স্থলবন্দরের জেটিতে নোঙর করে রয়েছে আরও চারটি ট্রলার। এসব ট্রলারে প্রায় সাত হাজার বস্তা পেঁয়াজ। প্রতিটি বস্তায় পেঁয়াজ রয়েছে ৪০ কেজি করে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আবসার উদ্দিন বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর মিয়ানমারের পেঁয়াজের ওপর ভরসা করা হচ্ছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে।
এর মধ্যে শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন থাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। তবে আজ (গতকাল শনিবার) সকালে সাতজন ব্যবসায়ী ৮০২ দশমিক ৫৩৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আয়াজ ১৬৯ দশমিক ৬৮০, আব্দুল জব্বারে ১৯৯ দশমিক ৬০০, মোহাম্মদ মাসুম ১৫৯ দশমিক ৬৮০, মোহাম্মদ সেলিম ৯৯ দশমিক ৮০০, মিঠু দাশ ১৬ দশমিক ৬২০, এহতেশামুল হক বাহাদুর ৭৩ দশমিক ৮০০ ও যদু দাশ ৮৩ দশমিক ৩৫৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলছে। এর মধ্যে মিয়ানমারেরও পেঁয়াজ অনেক কমে এসেছে। চলতি মাসে ১২ দফায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ১১ নভেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কমেছে।
তাঁরা আরও বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হলে সংকট সৃষ্টি হতো না।
এদিকে টেকনাফের বাজারে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকায় পেঁয়াজের বিক্রি কমে গেছে বলে অনেক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজভর্তি ট্রলারগুলো দ্রুতগতিতে খালাস করা হচ্ছে।
আজ (গতকাল) রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজভর্তি ৪৫টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে আসা আরও চারটি ট্রলার জেটিতে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।