মোঃ ইফতেখার (চট্টগ্রাম প্রতিনিধি): চট্টগ্রামের আরফিন নগর এ সাদার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আজ বৃহস্পতিবার পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসবমুখর বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক বক্তব্যে বিদায়ী আরসিই ১৪ ও ১৫ ব্যাচ এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী ১৫ ব্যাচের এর মেনটর লেকচারার মাসুদা আক্তার।তিনি বলেন একজন মেনটর হিসেবে সব সময় দায়িত্ব ছিল ওদের সাথে বন্ধুত্বের মত আচরণ করা তাদের দুঃখ কষ্টগুলো বোঝার এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর লেকচারার ইঞ্জিনিয়ার অমৃতা দাস বলেন,আমার কথাগুলো হয়তো তোমাদের ভালো নাও লাগতে পারে কারণ এটা আমার অফিসিয়াল বক্তব্য। ক্ষেত্রবিশেষে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মানুষ মানুষের শত্রু আবার কখনো বন্ধু। একজন শিক্ষক হিসেবে আমরা আশাবাদী যে তোমরা ভালো কিছু করবে।পরিশেষে বলব তোমাদের শিক্ষিত হয়ে পরিবারের নাম উজ্জ্বল করবে, ধন্যবাদ সবাইকে।
ইঞ্জিনিয়ার ডক্টর হাসিনা ইয়াসমিন আরসিই ১৪ ব্যাচ এর উদ্দেশ্যে বলেন ,তোমাদের মধ্যে খুব কঠিন কোঅরডিষন রয়েছে। তাই তোমরা ভালো করেছো।আর ১৫ বেইস এর কথা কি বলব প্রথমে মনে করতাম তোমরা খুব দুষ্টু পরে দেখলাম তোমরা খুবই মিষ্টি।
এদিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসান বলেন, তোমরা যে কোন সমস্যা প্রয়োজন বোধ করো আমার কাছে আসবে। আমি চেষ্টা করব সমস্যা সমাধানের। তোমরা অনেক দূর এগিয়ে যাও এই কামনাই করি।
এরপর বক্তব্য রাখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ডক্টর বিজয় শংকর বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের তো ফেয়ার ওয়েল হয়েছে তোমরা নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট হতে পারোনি তাই এ প্রতিফলন।
জগতের পরিবর্তনঢা অসাধ্য এটিকে কেউ বদলাতে পারবে না। পরিবর্তন না থাকলে তাহলে বিষয়টাই মৃত। আমি আর খুব বেশি সময় নেবো না এরপরে তোমাদের আসল আনন্দটা শুরু হবে তাই তোমাদের সাফল্য কামনা করি ।
আরেকটা বিষয় ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এসব বিষয়গুলো খুব সেনসিটিভ তাই যেকোনো কাজ নিষ্ঠার সাথে করতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই কিছুদিন আগে ট্রেন দুর্ঘটনা হলো এটি আসলেই অযোগ্য চালকদের জন্য হয়েছে। তাই যোগ্যতা ভালো হওয়া উচিত তা না হলে এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে ।
এরপর বক্তব্য রাখেন চুয়েটের সাবেক শিক্ষক ও বর্তমান সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার তারেক মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন অনেকদিন তোমাদের সাথে কাজ করেছি তাই তোমরা এখন সবাই আমার সমকক্ষ আমি ঘোষণা দিলাম।একদিন তোমাদেরকে ভালো একটা জায়গায় দেখবো সেটা আশা করছি।
বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখারুল আলম। তিনি বলেন , আমরা এখানে একটি চ্যাট ক্লাব তৈরি করতে চাই , এক্ষেত্রে তোমাদের সকলের সহযোগিতা চাই।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটি সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ।
তিনি বলেন,শুরুতে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই যারা এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পরিপাটি মঞ্চে উপস্থিত সকলকে।
আশা করি আমরা যেটিকে কুচিন্তা বলি সেটি তোমরা করবা না। আমরা কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা না ,সারা দেশে যা ঘটে তারই একটি অংশ আমরা। তোমাদের মেনটর মাসুদা মেডাম চমৎকার বলেছেন।আমি তাকে বলেছিলাম তাদের যেকোনো সমস্যা, তাদের পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে ,তোমরা কেন ক্লাসে পড়ছো না তার কি কোন সমস্যা আছে? নিশ্চয়ই একজন শিক্ষক বন্ধুর মতো হলে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তোমরা আমেরিকাকে টার্গেট করবে , চীন কে টার্গেট করবে,জাপান কে টার্গেট করবে। তোমরা সে লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাও।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদায় ব্যাচের ছাত্র মোঃ ফরহাদ আলম ,সাবেক ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুক্তার ও বারেক আলম মজুমদার প্রমুখ।