৩০ সেকেন্ডের খেসারতে ঝরল ১৬ টি প্রাণ

উদয়ন ট্রেনটিকে মেইন লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে আসার সিগন্যাল দেয়া হয়েছিল। তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে আউটার ও হোমে মেইন লাইনে থামার জন্য সিগন্যাল দেয়া হয়। সেই হিসেবে উদয়ন ট্রেন ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এ সময় নিশীথা ট্রেনের চালক সংকেত অমান্য করে উদয়ন ট্রেনের ওপর উঠে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনা সম্পর্কে এসব কথা বলছিলেন মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জাকের হোসেন চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী।

রেলওয়ে স্টেশন, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা গতকাল রাত ২টা ৪৮ মিনিটে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হয়। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ট্রেনটিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে সিগন্যাল দেয়।

প্রত্যক্ষর্শীরা বলছে, মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে উদয়ন ঢুকলে কিংবা ৩০ সেকেন্ড পরে তূর্ণা ঢুকলে এই বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না।

অপরদিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে স্টেশনমাস্টার ট্রেনটিকে মেইন লাইন ছেড়ে দিয়ে ১ নম্বর লাইনে আসার সংকেত দেন। ওই ট্রেনের চালক ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করেন। ছয়টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই অপরদিক থেকে আসা তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগনাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে ট্রেন চালান। এ সময় উদয়ন ট্রেনের মাঝামাঝি তিনটি বগির সঙ্গে তূর্ণা নিশীথার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উদয়ন ট্রেনের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটি ট্রেনের সিগন্যাল অমান্য করার যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তবে চালক সিগন্যাল যদি অমান্য না করে থাকেন তাহলে এই দোষ সম্পূর্ণ গিয়ে পড়বে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের ওপর। তবে তদন্তের পূর্বে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

Scroll to Top