পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের সাকাবাইয়ে গত ২ নভেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৮টায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আফ্রিকান কিছু অজ্ঞাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশের হাবীবুর রহমান বাবলু।
সেখানে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী পর্তুগিজ এক তরুণী পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে হাবীবুর রহমান বাবলু কে লিসবনের সান্তা মারিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তারগণ তার গুলিবিদ্ধ পা\’য়ের অবস্থা ভালো না থাকায় এবং ইনফেকশন থেকে বাঁচাতে পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
পরে কর্তব্যরত ডাক্তার জরুরি অপোরেশনের মাধ্যমে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলেন। এতে পুরো কমিউনিটির মানুষ হতাশা প্রকাশ করেন। শান্তিপ্রিয় পর্তুগালে এমন একটি ঘটনা তারা মেনে নিতে পারেননি।
এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরে পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও আহত বাবলু\’র সহায়তার জন্য ৮ নভেম্বর শুক্রবার লিসবনের প্রাসা দ্যা ফিগুয়েইরা তে স্থানীয় সময় বিকেল ৪.৩০মিঃ এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিজেদের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে যোগ দেয় পর্তুগালে বসবাসরত শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা হাবীবুর রহমান বাবলুর উপর হামলার বিচার, তার চিকিৎসা বাবদ ক্ষতিপূরণ ও এই ধরণের হামলা রোধে সরকারের আরও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান।
বর্তমানে লিসবনের সাও জোসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাবীবুর রহমান বাবলু। তিনি দীর্ঘসময় ধরে পর্তুগালে বসবাস ও ব্যবসা করে আসছেন। বর্তমানে এমন একটি দুর্ঘটনায় পড়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার সামনের পথচলা।
শুধুমাত্র কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করা হলে তিনি আবারো উঠে দাঁড়াতে পারবেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তার কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ব্যায় বর্তমানে তার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি কমিউনিটির সকলের সহায়তা চেয়েছেন। কমিউনিটির সর্বাত্মক সহযোগিতাই পারে হাবীবুর রহমান বাবলুকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে।