জায়গা-জমির পর্চা পাওয়া বা অন্য কোন সেবা পেতে এখন আর ভূমি অফিসের হয়রানি সহ্য করতে হবে না। মুঠোফোন থেকে ৩৩৩ চেপেই পাওয়া যাবে এ সংক্রান্ত সেবা। এতে সময়, অর্থ ও হয়রানি কমবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ডিজিটাল সিলেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি।
ডিজিটাল সিলেটের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিলেট নগরী গড়া ছিল তার নির্বাচনী ওয়াদা। এর অংশ হিসেবে মাস দুয়েক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজ শুরু হয়। আজ ডিজিটাল সিলেট কার্যক্রমের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, ৩৩৩ কার্যক্রম চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তি আরও সহজ হয়েছে। এখন জমির পর্চা পাওয়ার জন্য কাউকে অফিসে যেতে হবে না। বাড়িতে বসে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে এ সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে। আগে এই পর্চার জন্য ৩-৪ বার অফিসে যেতে হতো। দালালদের পেছনে ঘুরতে হতো। অনেক টাকাও খরচ করতে হতো। ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ায় এখন মানুষ বিড়ম্বনা ছাড়াই তার ভূমির পর্চা প্রাপ্তিসহ অন্যান্য সেবা ঘরে বসে পাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের ডিজিটাল সেবাগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে। তার ঘোষণা বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। আগামীতে আরও অনেক সেবা ডিজিটালাইজেশন হবে। ফলে মানুষের সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে।
সিলেট নগরীতে বসানো ফেস রিকোগনাইজ ক্যামেরার কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারেন, এমন আশঙ্কার জবাবে ড. মোমেন বলেন, নতুন কোন কিছু চালু হলে প্রথম দিকে এর কিছু অসুবিধা থাকতেই পারে। কোন সমস্যা দেখা দিলে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে সিলেট নগরী সিসি ক্যামেরায় আওতায় আসায় অপরাধপ্রবণতা কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেটে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চান। এজন্য নিজের দলের ভেতর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। তার এই উদ্যোগ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমরাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ধীরে ধীরে সকল জেলায় এই অভিযান শুরু হবে। এই অভিযানের মাধ্যমে দেশ থেকে দুষ্টু লোক নির্মুল হোক, আমরা এটাই চাই।