বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ গত ৪ নভেম্বর চাইনিজ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্টের সাথে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্টের জন্য চাইনিজ কোচ প্রেরণ, চীনের ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
গত ৫ নভেম্বর চীন সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মি গ্রাউন্ড ফোর্স এর কমান্ডার জেনারেল হান উয়েগো এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেকার সম্পর্ক উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, সাইবার নিরাপত্তাসহ নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং দুই দেশের বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের যৌথ অনুশীলনের বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীনের সামরিক নেতা হিসাবে মিয়ানমার সেনা নায়কদের সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন।
গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উয়েই ফেং এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, সাইবার নিরাপত্তাসহ বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ সহায়তা, প্রতিরক্ষা বিষয়ক যৌথ অনুশীলন, চিকিত্সা ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ডাক্তারদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ এবং সেনা সদস্যদের বিনা খরচে উন্নত চিকিত্সা সেবা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গা কর্তৃক অত্র অঞ্চল তথা সাউথ ইষ্ট এশিয়া রিজিওন এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তার জন্য কি ধরনের হুমকি/সমস্যা হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সর্বোপরি সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে মিয়ানমার সেনা নায়কদের সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন।
এছাড়া তিনি ৬ ও ৭ নভেম্বর বেইজিং এবং নানজিং এ পিপলস লিবারেশন আর্মি এর দুইটি কম্পোজিটর ব্রিগেড এর প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি চীনের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধিগণ সেনাপ্রধানের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।