জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত শির্ক্ষাথীদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রাকিবুল রনি। বৃস্পতিবার দিন শেষে আন্দোলনের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি একথা জানান।
এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, “আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়া হবে। আমাদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ আছে তাতে করে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আর কোনো ভাবেই তার পদে থাকতে পারেন না।”
আগামী দিনের কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ১১টায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। পরে প্রতিবাদ পটচিত্র অঙ্কন ও মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ‘উন্নয়নের নামে বৃক্ষ নিধন’ বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে গত আগস্ট মাসে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে ছাত্রলীগকে উপাচার্য ২ কোটি টাকা ‘ঈদ সালামি’ দিয়েছেন এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলনকারীরা তার অপসারণ দাবিতে শুরু করেন ধর্মঘট। পরে সোমবার তারা উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করেন। লাগাতার এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সেদিন দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলায় ৮ শিক্ষক, ৪ সাংবাদিক ও কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।