একমত হয়েছে বন্ধ শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া । এর অংশ হিসেবে চলতি মাসের ১৯/২০ তারিখে ঢাকায় আসছে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শুরু হয় এই বৈঠক। বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মালয়েশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদল
মন্ত্রীর সাথে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো: আজিজুর রহমান এবং বিএমইটির পরিচালক মো: নুরুল ইসলাম। এছাড়াও কুয়ালালামপুর থেকে প্রতিনিধিদলে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহেদা আহমেদ এবং কাউন্সেলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসেই দেশটিতে কর্মী পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে চলতি মাসের ১১ তারিখে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদের সাথে বৈঠক করবেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান। জানা গেছে, কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কমানো এবং কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন পদ্ধতি এসপিপিএ। এরপর সে সময়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি ২৫ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া গিয়ে বৈঠক করেও, শ্রমবাজারটি চালু করতে পারেননি। এরপর ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু\’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে নতুন করে কর্মী নেয়ার কিছু পদ্ধতি ঠিক হয়। চলতি বছরের ১৪ মে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী (তখন প্রতিমন্ত্রী) ইমরান আহমদ মালয়েশিয়া সফরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রি মুহিউদ্দিন ইয়াসিন ও মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের অগ্রগতি হিসেবে ২৯ ও ৩০ মে মালয়েশিয়ায় দু\’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের আরেকটি বৈঠক হয়।