আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন যে, জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি সম্মেলনে এ তালিকা ধরে অনুপ্রবেশকারীদের দল থেকে বাদ দেওয়া হবে।
আজ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনে বিতর্কিতদের যাতে অনুপ্রবেশ না ঘটে, সে জন্য সতর্ক আছি। নিজস্ব কিছু লোকজন ও গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলীয় কার্যালয়ে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটি নিয়ে বিভাগীয় দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শাখা ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের ক্ষেত্রে তালিকা দেখেই ব্যবস্থা নেবেন, যাতে তালিকায় যাদের নাম আছে তারা আবারও অনুপ্রবেশ করতে না পারে।’
এ ছাড়া সব জেলায় গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আজই এ নির্দেশনা পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলে দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনটি সংশোধন হচ্ছে বলে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংশোধন ছাড়াই হুবহু কার্যকর হতে যাচ্ছে। আইনটি প্রয়োগে গেলেই জনস্বার্থে কার্যকারিতার বিষয়টি বোঝা যাবে।
চলমান শুদ্ধি অভিযানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির এটি ভালো লাগার কথা নয়। ৫ বারের দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। বিএনপি দুর্নীতির আখড়া। তবে দেশবাসী ও বিশ্ব পর্যায়ে চলমান অভিযান প্রশংসিত হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্যের কিছু নেই। মেডিকেল বোর্ড যা বলবে, সেটাই যথাযথ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।