যে তিনটি ম্যাচ পাতানোর জন্য সাকিব আল হাসান প্রস্তাব পেয়েছিলেন তার একটি ছিল আইপিএলের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা আদৌ আছে কিনা
ম্যাচ না পাতিয়েও ফেঁসে গেছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের অপরাধ, জুয়াড়িদের কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাননি তিনি। ফলে আইসিসি বাংলাদেশের অধিনায়ককে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এর মাঝে থাকছে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। তবে প্রশ্নবিদ্ধ তিন ম্যাচের একটি যেহেতু আইপিএলের তাই স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের বিরুদ্ধে তদন্তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আদৌ কোনো ভূমিকা আছে কিনা, সে প্রশ্ন উঠছে। তবে বিসিসিআই জানিয়েছেন, সাকিবের বিরুদ্ধে গোটা তদন্তটাই আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) স্বাধীনভাবে করেছে।
এসিইউ সাকিবের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নিজেদের মতো করে তদন্ত করেছে বলেছে জানিয়েছেন অজিত সিং, ‘আইপিএলের যে মৌসুমের ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, সে মৌসুমের সকল দুর্নীতিবিরোধী বিষয়গুলো আইসিসি-ই দেখভাল করেছে। কোনো অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে আইসিসি-ই কাজ করেছে, তদন্ত করেছে। এর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
অন্যান্য মৌসুমগুলোর মতো ২০১৮ মৌসুমেও দুর্নীতিবিষয়ক বিভিন্ন অভিযোগের ক্ষেত্রে আইসিসিকে সব রকম তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করেছে বিসিসিআই, ‘হ্যাঁ, আমরা আমাদের তরফ থেকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছি আইসিসিকে, কিন্তু এ বিষয়ে পুরো তদন্তটাই আইসিসি করেছে। বিসিসিআই না।’
আইসিসির অভিযোগ, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা এসিইউয়ের কাছে জানাননি সাকিব। এরপর ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তাঁর সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার এসিইউর কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। সর্বশেষ, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আইপিএলের সেই ম্যাচে অবশ্য সাকিবের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদই জিতেছিল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের আফগান স্পিনার মুজিব- উর- রেহমানের বলে ময়ঙ্ক আগরওয়ালের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৯ বলে ২৮ রান করেছিলেন সাকিব। বল হাতেও মোটামুটি সফলই ছিলেন সেদিন। ৩ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও অ্যারন ফিঞ্চের দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি।