আইসিসির দুর্নীতি দমনের আইন তো খুব ভালো করেই জানেন সাকিব। আইসিসির বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি বিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এমনকি ১০-১১ বছর আগেও যখন জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন, আকসুকে জানাতে দুবার ভাবেননি। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল। আজ বড় এক ঝড় বয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। এর মাঝে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এ ঘটনায় নিজের দায় ও শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের মূল ভরসা সাকিবকে পুরো এক বছর পাবে না দল। এ সময়ে ভারত সফর তো আছেই। আছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বটাও সাকিবকে ছাড়া কাটাতে হবে বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে ৩৬টি ম্যাচে সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ। সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় ক্রিকেটেও খেলতে পারার কথা নয়। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষেই সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা কঠিন হবে তাঁর পক্ষে।
এ ক্ষেত্রে বিসিবির অনুরোধে হয়তো শাস্তি একটু কমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবু অন্তত ৩৬ ম্যাচ যে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না এটা নিশ্চিত। এতে আরেকটি কিন্তু আছে। সাকিবের প্রত্যাবর্তনের দিন ঠিক হয়েছে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। তবে স্থগিত নিষেধাজ্ঞার কথা ভুললে চলবে না। আগামী এক বছর সাকিবের ওপর কড়া নজরদারি করা হবে। কিছু ব্যত্যয় হলেই নিষেধাজ্ঞা এক থেকে দুই বছর হয়ে যাবে।
এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা যেন বাস্তবে রূপ না নেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে সাকিবকে। উপায়টা আইসিসিই বলে দিয়েছে। আজ সংস্থাটির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
স্থগিত ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা যেন কার্যকর না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে সাকিব আল হাসানকে নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
১. নিষেধাজ্ঞার সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের আইন বা কোনো দেশেরই দুর্নীতি বিরোধী আইন ভাঙা যাবে না।
২. আইসিসি যেভাবে বলে দেবে ঠিক সেভাবে বিভিন্ন দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষাকার্যক্রম ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় ও পরিপূর্ণভাবে অংশ নিতে হবে।
এ দুটি শর্ত পূরণ হলেই এক বছরেই শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা।