সাকিব আল হাসান এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ। ক্রিকেট বিশ্ব এখনো সে ধাক্কা সামলে উঠতে পারছে না। সাবেক ক্রিকেটাররাও এর ব্যতিক্রম নয়। কেউ বিস্মিত হচ্ছেন, কেউবা বলছেন আইসিসি ঠিকই করেছে। কারও রাগ আইসিসির আইনের প্রতি। কারও রাগ সাকিবের প্রতি।আইসিসির দুর্নীতি দমনের আইন তো খুব ভালো করেই জানেন সাকিব। আইসিসির বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি বিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এমনকি ১০-১১ বছর আগেও যখন জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন, আকসুকে জানাতে দুবার ভাবেননি। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল।
আগামীকাল ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল যার সেই সাকিবই থাকছেন না দলের সঙ্গে। সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড়কে হারানো দলের জন্য ধাক্কা। আর মুশফিকুর রহিমের জন্যও তো আরও বেশি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বাংলাদেশ দলে একসঙ্গে খেলছেন তাঁরা। সাকিব, মুশফিক, তামিম ইকবাল, এঁরা তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি যুগেরই সাক্ষী।
ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও সেটা দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানাননি সাকিব। আর তাতেই আগামী এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের এমন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন মুশফিক। তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বয়স ভিত্তিক দল… আন্তর্জাতিক ক্রিকেট… ১৮ বছর ধরে একসঙ্গে ক্রিকেট খেলছি… তুমি মাঠে নেই এ অবস্থায় খেলতে হবে ভেবেই ভয়ংকর মন খারাপ হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত একজন বিজয়ীর মতোই ফিরবে তুমি। সব সময় আমার এবং পুরো বাংলাদেশের সমর্থন পাবে। ধৈর্য ধর, ইনশাআল্লাহ।’ লিখেই স্ট্যাটাসের সঙ্গে মুষ্টিযোদ্ধার মতো লড়াইয়ের ইমোটিকন দিয়েছেন মুশফিক। বুঝিয়ে দিয়েছেন সাকিবের মতো লড়াকু ক্রিকেটার হাল ছাড়বেন না।