শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন যে, আগামী বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ ৫ এর পরিবর্তে জিপিএ ৪ হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্ত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার জন্য কার্যকর হবে না।
আসন্ন জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর যে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হবে, সেটা থেকে এটি (জিপিএ ৪) চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬জন। সারা দেশে মোট দুই হাজার ৯৮২টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবের ফাঁদে না পড়তে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু.জিয়াউল হক।