পটুয়াখালীর সেই ভাগ্যাহত দম্পতি প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে পেলেন বাড়ি উপহার। এই দম্পতি নিজের ছেলের হাতে প্রতারিত হয়ে নিজের ভিটামাটি হারিয়ে প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে বসবাস করছিলেন।
২৬ অক্টোবর শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব এই দম্পতিকে বাড়ি উপহার দিয়েছেন।
এর আগে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে অসহায় শুকুর দেওয়ান (৭০) ও সহুরা বেগম (৬৫) দম্পতিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুকুর দেওয়ান পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। নিজের বাড়ি, চাষযোগ্য জমি ও গরু-ছাগলের খামার ছিল তার। বিয়ের পর তাদের সংসারে চার মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। উপযুক্ত বয়সে মেয়ে মর্জিনা, রোকেয়া, খোদেজা ও সালমার বিয়ে দেন। একমাত্র ছেলে হোসেন দেওয়ানকেও (৩০) বিয়ে দেন। একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে শুকুর দেওয়ানের চারজনের সংসার ভালোই চলছিল। কিছুদিন আগে শুকুর দেওয়ান বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার কথা বলে তাকে পাশ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপায় নিয়ে যান একমাত্র ছেলে হোসেন দেওয়ান। সেখানে গিয়ে বাবার সব সম্পাতি নিজের নামে দলিল করে নেন তিনি।
এরপর সেই সম্পত্তি চাচা তাজু দেওয়ানের কাছে বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যান হোসেন দেওয়ান। কিছু দিন পর ক্রয়সূত্রে জমির মালিক তাজু দেওয়ান বাড়ি থেকে শুকুর দেওয়ান ও তার স্ত্রীকে বের করে দেন। ছেলের নামে সব জমি লিখে দেয়ায় মেয়েরাও বাবাকে ত্যাগ করেন। এতে অসহায় হয়ে পড়েন বৃদ্ধ এই বৃদ্ধ দম্পতি। কোনো উপায় না পেয়ে পাশের বাড়ির একটি গোয়ালঘরে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই মানবেতর জীবন কাটছিলো তাদের। পাশের বাড়ির লোকজন কিছু খাবার দিয়ে যেত, তা খেয়ে বেঁচে ছিলেন অসহায় এই বৃদ্ধ দম্পতি।
অবশেষে হাজার চোঁখের মনি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তাদের সেই দুঃখ দূর হলো।