প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ\’ হলেন শিরিন

ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিরিন শিলা হলেন প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯’। তার সঙ্গে এ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন আলিশা ইসলাম এবং দ্বিতীয় রানারআপ (তৃতীয়) জেসিয়া ইসলাম। চ্যাম্পিয়ন শিলার মাথায় ৭৫০টি ডায়মন্ড খচিত প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের শৈল্পিক মুকুট(ক্রাউন) পরিয়ে দেন ১৯৯৪ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ ও বলিউড তারকা সুস্মিতা সেন।

যিনি উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ও অতিথি বিচারক হিসেবে। অনুষ্ঠানে মাঝপথে নেচে গেয়েও মুগ্ধ করেন তিনি। এর আগে মঞ্চে উঠে তিনি বলেন, হ্যালো বাংলাদেশ। সুন্দর সব দেশেই সুন্দর। বাংলাদেশ এই সুন্দরকে নিয়ে এবার বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করছে।

যিনি ‘মিস ইউনিভার্স’-এর মূল আসরে যাবেন তার জন্য শুভ কামনা থাকলো।

‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’। প্রতিযোগিতাটির বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালে। চূড়ান্ত এ পর্বে সেরা দশ থেকে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর বিজয়ীর মুকুট মাথায় ওঠে শিরিন শিলার। প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমার জন্য দারুণ আনন্দের মুহুর্ত। কতটা আনন্দের সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। শুধু আমার জন্য দোয়া করবেন যেন বিদেশেও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা একজন সৈনিক (বিজিবি)। বাবার মতো আমিও দেশের জন্য কাজ করবো।

গ্র্যান্ড ফিনালের এ আয়োজনে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ছিলেন তাহসান খান, কানিজ আলমাস, টুটলি রহমান, রুবাবা দৌলা, ফারজানা চৌধুরী, ডিউক, ড. জারিন দেলোয়ার হোসাইন, আতাহার আলী খান ও স্টার ফারুক। আয়োজনের শুরু থেকেই বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন তারা। এবারের ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর চেয়ারম্যান রিজওয়ান বিন ফারুক। প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে তিনি বলেন, সবার প্রতি ভালোবাসা। আপনাদের সহযোগিতায় প্রথমবারের এ আয়োজন আমরা সফলভাবে শেষ করতে পারছি। এবার যিনি বিজয়ী হলেন তিনি বাংলাদেশের হয়ে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ লড়বেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সুন্দরী, বুদ্ধিমতী, অভিজাত, মেধাবী ও আত্মবিশ্বাসী তরুণীদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়াসে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকায় ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনটি যৌথভাবে করেছে রিজ ইভেন্টস, অফ ট্র্যাক ও ট্রিলজি। গেল সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। কয়েক হাজার প্রতিযোগী থেকে বাছাই করে শীর্ষ ১০ নির্বাচন করা হয়। যারা টিকে ছিলেন তাদের সবাই ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী অবিবাহিত নারী। সেরা দশে থাকা প্রতিযোগীদের মধ্যে আরো ছিলেন মারিয়া মুমু, সানোবার তাইফা, স্মৃতি আক্তার, আফলা আমরার, তামান্না ইসরাত সোহানি, ঈরানা ইশরাত ও তৌসিবা ইসলাম আনিতা।

Scroll to Top