বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কে সমস্যা সমাধানের সুযোগ না দিয়ে এভাবে ধর্মঘট করাকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের। গতকাল বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটারদের ১১ দফা আন্দোলনের মুখে আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিবি। এ সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফসল এবং এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্রের অংশ।
ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির একটি একটি করে দাবির জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সভাপতি। প্রথম দাবির প্রসঙ্গেই বিতর্কিত এক মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াবকে কিছুদিন আগ পর্যন্তও তারা স্বীকৃতি দিতেন না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দাবি গুলোর প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য তিনি নাকি সিসিডিএমকে আগেই বলে দিয়েছেন, এসব দাবি মেনে নিতে। বিশেষ বিপিএল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য ক্রিকেটাররা নিজেরাই সিদ্ধান্তহীন তারা কী চান। কিন্তু দেশি বা বিদেশি ক্রিকেটারকে টাকা বেশি বা কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। এ ব্যাপারে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চুক্তি করানো বোর্ডের মধ্যে বিসিবি আছে। এতটুকু পর্যন্ত নিজের মতামত জানিয়েই সভাপতি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা টেনে এনেছেন। তাদের দাবি, এসব দাবি বিসিবিকে জানালেই তারা মেনে নিতেন। এবং জেনেই নাকি তারা এ কথা বিসিবিকে জানায়নি। কারণ, দাবি মানলে আন্দোলন করা যাবে না। এভাবে মিডিয়ার সামনে দাবি জানিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সভাপতি বলছেন তাতে নাকি ক্রিকেটাররা সফল।
একদম ভারত সফরের আগে এভাবে আন্দোলন করাকে বিশেষ এক বার্তা হিসেবে দেখছেন সভাপতি। ক্রিকেটাররা নাকি বিদেশি ক্রিকেট কোচদের পছন্দ করেন না। তাঁর ধারণা দেশি কোচই তাঁদের পছন্দ। পারলে কোচ ছাড়াই নাকি ক্রিকেটাররা খেলতেন। ক্রিকেটারদের একাধিক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করার ব্যাপারে বলেছে, চাইলে চারটিও করবেন। তবে জাতীয় দলের সবাইকে খেলতে হবে। তাঁর ভাষায়, ‘আদায় করে টুর্নামেন্ট খেলবে না, এসব ভং চলবে না।’
ক্রিকেটাররা নাকি এখনো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। বোর্ড যোগাযোগ করলে সাড়া দিচ্ছেন না। এর মানে সমাধানের ইচ্ছা নেই। এসবই ষড়যন্ত্রের লক্ষণ।