ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের প্রথম দিন আগামী ২২ নভেম্বর খেলা শুরুর সময় কলকাতার ইডেন গার্ডেনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি গতকাল সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। সৌরভ জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও মাঠে থাকতে পারেন।
২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট হয়েছিল ভারতের সঙ্গে ঢাকায়। বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে অংশ নেওয়া দুই দলের সদস্যদের ঐ দিন সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় আর ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি। ইডেনেই প্রথম দিনের খেলার শেষে হবে এই অনুষ্ঠান।
সৌরভ জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে সম্মতি পেয়েছি। ২১ নভেম্বর রাতে উনি কলকাতায় আসবেন। কোনো কারণে ভিভিআইপিরা সকালে উপস্থিত হতে না পারলে বিকেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকবেন।
আগামী ৩ নভেম্বর দিল্লিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভারত সফর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে প্রথম ভারত সফরে তারা শুধু হায়দরাবাদে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। কেন সেই ম্যাচ বাঙালির আর এক শহর কলকাতার আইকনিক ইডেন গার্ডেনে করা হলো না, তখন তা নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলে উঠেছিল নানা প্রশ্নও।
সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়ে এবার বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায়। আর সেই টেস্টকে আলাদা মাত্রা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই ম্যাচে উপস্থিত থাকছেন।
তাত্পর্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এ সিদ্ধান্তের কথা সিএবিকে জানাল এমন এক দিনে, যখন সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটাররা অনেকেই বাড়তি বেতন ও অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘটে নামার হুমকি দিয়েছেন। তাদের এই ধর্মঘট ডাকার ফলে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর ঘিরেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার কার্যালয় যে এ সফরকে ঘিরে কোনো আশঙ্কার ছায়া দেখছে না, তা প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট।
এ মাসের শুরুর দিকেই চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলকাতা টেস্টে যাওয়ার সুবাদে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই আবার ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি।