ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। চিঠিতে তিনি ইইউ থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়া আরও বিলম্বিত করার অনুরোধ জানান। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
তবে আরেক চিঠিতে ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী সময় বাড়াতে চান না বলেও জানিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,নিজের করা ব্রেক্সিট চুক্তি শনিবার পার্লামেন্টের ভোটে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইইউয়ের কাছে এসব চিঠি পাঠান বরিস।
এর আগে বরিস বলেন, তিনি ‘মরে গেলও’ ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরের চূড়ান্ত সীমা পেছানোর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন না।
ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে জনসন মোট তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাবার চুক্তি বা ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ নিম্ন কক্ষ ‘হাউস অব কমন্স’ এ আবারও হোঁচট খায়। ব্রেক্সিট প্রশ্নে ইইউ এর সঙ্গে ১৭ অক্টোবর এক খসড়া চুক্তির বিষয়ে ঐক্যমতে পোঁছানোর পর গত শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশনে ভোট হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয় নি। ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা।
শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন বসার রীতি না থাকলেও ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণে এক বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কথা ছিল পার্লামেন্টের সদস্যগণ ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজেদের ভোট দেবেন।
কিন্তু ক্ষমতসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা অলিভার লেটইনের আনা এক সংশোধনী প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাশ হওয়ায় এমপিরা ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। ফলে এর আগে পাশ হওয়া ‘বেন অ্যাক্ট’ ফাঁদে আটকা পড়ে ব্রেক্সিট।