সরকারি চাকরি আইনের সাতটি ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরকারি চাকরি আইনে ওই ধারাগুলো সংযোজন করা হয়েছে। এই ধারাগুলো কার্যকর হলে সরকারি কর্মচারীরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
আজ রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে স্পিকার ও সরকারের ছয় সচিবকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
নোটিশে ওই আইনের ৫(২), ২৪(১,৩), ৩৫, ৩৯(১, ২), ৪২(১,২,৪), ৫১(৪) ও ৫৫ ধারাগুলো নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য এবং বিভিন্ন আইনের শর্তাবলীর ব্যত্যয় ঘটিয়ে পহেলা অক্টোবর থেকে আইনটির কার্যকারিতা দেওয়া হয়েছে। আইনের ৫(২) ধারায় সরকারি কর্মচারীদের কাজের শর্তাবলীর তারতম্যের বিধান রাখা হয়েছে। আইনের ২৪(১) ও ৪২(১,২) ধারায় আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীতে বিধান করে আদালত অবমাননা আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। আইনের ৩৯ ধারায় ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ৫ (১) ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত বা অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া ধারা ৩৫ এ রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না রাখার বিধান করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
:ইত্তেফাক