প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করছে একটি সরকারি সংস্থা।অনুপ্রবেশ করে নানা অপরাধ বা বিতর্কমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত এজন্য একটি নির্ধারিত ফরম দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নামে যেসব সংগঠন রয়েছে, সেসব দল বা সংগঠনে যোগদানকারী নেতাকর্মীদের নাম, যোগদানের সময়, স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আগে কোন দল বা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল, পূর্ববর্তী দলে পদ-পদবি যদি থাকে, বাবা-ভাই-মা-চাচাসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক তথ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পরিবারের ভূমিকা, আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর তার পদ-পদবি, আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কোনো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ-সম্পর্কিত তথ্য, মামলা-সম্পর্কিত তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাপ্রধানের মন্তব্য চাওয়া হয়েছে ঐ নির্ধারিত ফরমে।
প্রসঙ্গত, টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের ঢাকা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায় পর্যন্ত নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়েছে সরকারি দলের একশ্রেণির নেতাকর্মী। কোথাও কোথাও সিন্ডিকেট করে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে তারা সরকারকে বিব্রত করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে ইত্তেফাককে বলেন, অনুপ্রবেশকারী রয়েছে সেটি পরিষ্কার। তাদের বিষয়ে কী করা হবে, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন।
তার মতে, অনুপ্রবেশকারীরা কিছু পরীক্ষিত নেতার হাত করে দলের মধ্যে ঢুকে দল ও সরকারকে বিব্রত করছে। চলমান অভিযানে আরো অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। কোনোক্রমেই তিনি অপরাধীদের প্রতি নমনীয় হবেন না। তিনি দেশে ফিরেই আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে সূত্র জানায়।