বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ২০ লাখ যুবক শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) দেওয়া ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ইউনিসেফ ভবনে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সম্মানজনক এই পুরস্কার তুলে দেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর। সম্মাননা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার দেশবাসী এবং বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের শিশুদের জন্য উৎসর্গ করেন। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনও জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তাই তরুণদের উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানে উপযোগী করে গড়ে তুলতে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতি পাঁচজনের একজনের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে এবং এক চতুর্থাংশের বয়স ১৪ বছরের নিচে। এই তরুণরা ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হচ্ছে, যাতে পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু করতে পারে। তাদের জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান প্রয়োজন।
জাতি গঠনে বাংলাদেশের তরুণদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুবসমাজ জাতির সব সংকটময় সময়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে যুবকদের সম্ভাবনা পূরণ না করে অগ্রগতি সম্ভব নয়। আমরা জ্ঞানসম্পন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বেকার এবং অপ্রশিক্ষিত যুবকদের মানবসম্পদে রূপান্তর করার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কেউ যেন পেছনে পড়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ধরে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানোর কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানান।