পাল্টাপাল্টি হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিংহের লেজ নিয়ে খেলা করবেন না। পাল্টা জবাবে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেবেন না। না হলে আপনাদেরকে এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে, যার নজির ইতিহাসে খুবই কম। অন্যদিকে, ইরানের ধর্মীয় নেতাদের ভণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
বার্তায় আরও বলা হয়, ভিসা জটিলতার কারণে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে হতে যাওয়া জাতিসংঘের সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবেন না ইরান।
শনিবার সৌদির দুইটি তেলক্ষেত্রে হুতি বাহিনীর ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে ইরানকে দোষারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ উঠেছে, ইয়েমেন ভিত্তিক হুতি জঙ্গিদের সরাসরি মদদ দেয় ইরান সরকার। কিন্তু ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ দাবি করে, হামলাকারী ড্রোন দুইটি ইয়েমেন থেকে নয় বরং ইরান থেকেই এসেছে।
এদিকে ইরানের অর্থনীতির উপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত চাপকে \’অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ\’ বলে উল্লেখ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বুধবার একটি সংসদীয় সভায় রুহানি বলেন, \’যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইরানের উপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করছে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসা সম্ভব নয়। তাদের অবশ্যই এই অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের ইতি টানতে হবে।