ভারতের বিজেপির নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে কলেজের এক তরুনীকে টানা বার মাস ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।২৩ বছরের ওই তরুণী তিনবারের সাংসদ চিন্ময়ানন্দ পরিচালিত একটি আইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
প্রায় এক সপ্তাহ আত্মগোপনে থাকার পর দিল্লির লোধি রোডের থানায় জমা দেওয়া ১২ পাতার অভিযোগপত্রে ওই তরুণী বলেন, উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে তিনি বিশ্বাস করেন না। কেননা তার পরিবার শাহজাহানপুর জেলা প্রশাসন থেকে কোনো রকম সাহায্য পায়নি। মঙ্গলবার খবরটি নিশ্চিত করেছে এনডিটিভি। সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে কালো স্কার্ফে মুখ ঢেকে ওই তরুণী জানান, চিন্ময়ানন্দ তাকে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন করেছেন।
এ বিষয়ে চিন্ময়ানন্দ জানান, তাকে ব্ল্যাকমেল করার ‘চক্রান্ত’ করা হচ্ছে।
প্রথমে ওই তরুণী চিন্ময়ানন্দের নাম না নিলেও তার বাবা পুলিশের কাছে নামটি বলে দেন। গত ২৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ থাকার পর ৩০ আগস্ট রাজস্থানে তাকে পাওয়া যায়। এর আগে এক সপ্তাহ তার কোনো খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, ওই বিজেপি নেতা কীভাবে তাকে নিগ্রহ করেছেন ও ভয় দেখিয়েছেন। তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
ভিডিয়োতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন ওই তরুণী। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরই বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় চিন্ময়ানন্দের নামটি জানিয়ে দেন।
ফিরে আসার পর সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হলে ওই তরুণী আদালতকে জানান, প্রাণ বাঁচাতেই তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। এরপর শীর্ষ আদালত একটি বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল বা সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার জন্য।
তরুণী আরও জানান, সিট আমাকে ১১ ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করেছে। আমি তাদের ধর্ষণের ব্যাপারে বলেছি। তবে তাদের সব বলা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করেনি।
এ ব্যাপারে চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী বলেন, স্বামীজি মামলাটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন না। তিনি এই মুহূর্তে আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপে ব্যস্ত। কিন্তু তিনি অবশ্যই প্রয়োজনে দিল্লি পুলিশের সামনে হাজিরা দেবেন।