সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সাথে বেশ কিছু বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলার।
বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এসব চুক্তি করতে চেয়েছিলো দেশটি।
শেষ পর্যন্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সফরের সময় এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো দেশ দুটির মধ্যে।
বৈদেশিক পাওনা পরিশোধে সংকট নিরসনে পাকিস্তানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে আর সে কারণেই দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছিলো।
যে সব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে আছে বন্দর নগরী গোয়াদরে একটি ওয়েল রিফাইনারি স্থান করা হবে আট বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে।
এর বাইরেও জ্বালানি, পেট্রোকেমিকেল ও খনিজ খাত নিয়ে দু\’পক্ষ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
সালেহ আল-মোদাইফার ফেব্রুয়ারিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
উপমন্ত্রী বলেন, সবোর্চ্চ সমন্বয় পরিষদের বৈঠকের আগে বাস্তব ফলাফল দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
পাকিস্তানে পেট্রোকেমিকেল কমপ্লেক্স, নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প এবং খনিজ সম্পদের ওপর ২০ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আর এসব প্রকল্প হবে বেলুচিস্তানে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীর সংকটের ঠিক এমন সময় সৌদি আরবের বিনিয়োগের বিষয়টি পাকিস্তানের জন্য সবুজ সংকেত।