আলোচনা চলছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রম বাজার খুলে দেওয়ার

ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আমির ফরিদ বিন আবু হাসান বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রম বাজার খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আলাপ-আলোচনা চলছে।

শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার ৬২তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ হাইকমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।

মালয়েশিয়াকে বর্তমানের পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় উল্লেখ করে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আগামীতে ভ্রমণককারীর সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য আগামী বছর জুড়ে চলবে ‘ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২০’ প্রচারণা কার্যত্রক্রম।

সাংবাদিকদের প্রশেুর জবাবে তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে আছে মালয়েশিয়া।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই এগিয়ে চলছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে এবং ওই সিদ্ধান্ত থেকে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।

অনুষ্ঠানে ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার মাকেটিং ম্যানেজার (বাংলাদেশী মার্কেট) মোহাম্মদ শোয়েব ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী পর্যটকদের ভ্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালে ৮৬ হাজার ৪৬৫ জন বাংলাদেশী পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেন। আর ২০১৮ সালে ভ্রমণ করেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৪ জন বাংলাদেশী পর্যটক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২ লাখ ৪ হাজার ৪১৮ জন বাংলাদেশী পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেন।

তিনি জানান, এখন পারিবারিক আনন্দ ভ্রমণ, দলগত আনন্দ ভ্রমণের জন্য এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয় স্থান মালয়েশিয়া। এর পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের ও উন্নত প্রযুক্তির সেবার সব ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় পর্যটক সংখ্যা আরও বাড়াতে আগামী বছর জুড়ে ‘ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২০’ প্রচারণা চলবে। এ প্রচারণার ভ্রমণের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় অনেক সুবিধা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া চায় বাংলাদেশ থেকে আরও পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণ করুক। বাংলাদেশী পর্যটকদের মালয়েশিয়ায় স্বাচ্ছন্দ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া আন্তরিক।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জনান, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে আছে মালয়েশিয়া। এই সংকটের শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে খাদ্য, বস্ত্রসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে মালয়েশিয়া সরকারের সহায়তায় হাসপাতাল প্রতীষ্ঠা করা হয়েছে। যেখান থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়া আসিয়ান এবং আহা সেন্টারের সঙ্গে কাজ করছে।

 

Scroll to Top