বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন , বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া আর বিকল্প কোনো পথ নেই।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহতা: জন আতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যে সরকারের নৈতিক ভিত্তি নেই, কোনো জনসমর্থন নেই, দায়বদ্ধতা নেই, সেই সরকারের প্রতি জনগণেরও কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি না।
‘খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করতে চাই কিনা সে সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো না। সুতরাং, বিএনপির মতো একটি দল যে আন্দোলন করার যোগ্যতা রাখে সেই আন্দোলন না করলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে না।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কাজ কাম পান না, তাই প্রেসক্লাব ভাড়া করে প্রোগ্রাম করেন। এসব করে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। সুতরাং, আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নেন। নিশ্চয়ই দল আপনাদের ডাক দেবে। আর যদি ডাক না দেয়, তাহলে আমাদের নিজেদেরই মাঠে নামতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল সেটা তারা নেয়নি। সরকার সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিলে আজ ডেঙ্গুর এই অবস্থা হতো না।
এই মুহূর্ত খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে দরকার দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সরকার ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট দেওয়ার সময় প্রিজাইডিং-পলিং অফিসারকে বলে দেয় পারলে এখনই গিয়ে কাজ সেরে নিও। অনেক এলাকায় রাত্রে করেছে। আমার এলাকায় সকাল দশটায় ব্যালট পেপার নিয়ে কেন্দ্রে যেতে যেতেই সিল মেরে দিয়েছে। সেই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি?
সংগঠনের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপত্বি আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।