ওঁৎপ্রোত ভাবে যুক্ত জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে।তিনি যে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন সেটা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশি টেলিভিশনে কর্নেল ফারুক ও রশিদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে সমস্ত বই পুস্তক পরবর্তিতে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর মাধ্যমেও আজকে স্পস্ট হয়েছে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাই ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও ৫০ বছর পরের প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছিল নেপথ্যের কুশিলবদের মুখোশ উম্মোচন করা প্রয়োজন।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মোকারম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বাবুল, রেজাউল করিম রাজা, এস এম জসিম উদ্দিন, রিদুয়ানুল হক টিপু, সেকান্দর আলম বাবর, মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ, আ হ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক চক্র এবং এ দেশে যারা বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা চায়নি মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল তাদের যোগসাজসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি যুক্তদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নীলককশা যারা প্রণয়ন করেছিল তাদের বিচার হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে উত্তরণ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যারা ৭১এর পরাজিত শক্তি বাংলাদেশ চায়নি এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিরুদ্ধাচরণ করেছিল তারাই যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য তিনি বাংলাদেশ কে স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনা করার যে স্বপ্ন এঁকেছিলেন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পরিচয় বদলে দিয়েছেন। স্বাধীনতার পরের দরিদ্র বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কর্ণফুলি নদীর উপর কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তথ্য মন্ত্রী বলেন, গত সপ্তাহে আমার উদ্যোগে ও কেবিনেট সচিবের আয়োজনে ঢাকায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য একটা উন্নয়ন সমন্বয় সভা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, রেল, যোগাযোগ, নৌ পরিবহনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চট্টগ্রামের মেয়রসহ সমস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সেখানেও কালুরঘাট সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কালুরঘাট সেতু নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেটা নিরসনকল্পে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। এই জটিলতা নিরসন করে শিগগির কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।