লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিখোঁজের ৭ দিন পর মোঃ সুমন (২৪) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার বিকেলে উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির পরিত্যাক্ত বাগান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাটিচাপা দেওয়া মোঃ অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার পুলিশ।
নিহত মোঃ সুমন কুমিল্লা জেলার মুরাদপুর সুজানগর গ্রামের মোঃ ইউনুছ আলীর ছেলে ও রামগঞ্জ শহরের সোনাপুর বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় একই দোকানের অন্য কর্মচারী মোঃ সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মোঃ সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ চৌকিদার বাড়ীর বাবুল মিয়ার ছেলে।
মামলা ও রামগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর শহরের সোনাপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফের দোকানে কুমিল্লার মোঃ সুমন ও রামগঞ্জের সোহেল হোসেন (২৭) নামের ২ যুবক বেশ কয়েক বছর যাবৎ চাকরি করে আসছিলো। দীর্ঘদিন একই দোকানে কর্মরত থাকায় সোহেলের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে দুজনের। সুমন রামগঞ্জের সোহেলকে বেশ কিছু টাকা ধার দেয়। পাওনা টাকা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো দুজনের মাঝে। এরই সূত্র ধরে চলতি মাসের ২১ জুলাই রাত থেকে মোঃ সুমন নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের পর সুমনকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সুমনের পিতা ২৭ জুলাই শনিবার রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার বিকেলে সোহেলের বাড়ি থেকে তার বাবা বাবুল মিয়াকে আটক করে। বাবাকে আটকের খবর পেয়ে মোঃ সোহেল শনিবার রাতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।
রবিবার বিকেলে সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ মিঝি বাড়ির পশ্চিম পাশের পরিত্যাক্ত বাগানের মাটির নিচ থেকে সুমনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘাতক মোঃ সোহেলকে স্বীকারোক্তি মোতাবেক গ্রেফতার করা হয়েছে। সুমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুুতি চলছে।’
ইত্তেফাক