হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করেছে তিন সংস্থা। আদালতের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দুধের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) ও সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। পরীক্ষা সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল করা হয়। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগার হতে এখনো রিপোর্ট দাখিল করা হয়।
গত ১৪ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। পরীক্ষার জন্য ওই চার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাজার থেকে বিএসটিআইকে এই দুধের নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়। দুধে ব্যাকটোরিয়া, এন্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, ফরমালিন, কলিফর্ম ও অ্যাসিডিটি রয়েছে কিনা তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দুধ পরীক্ষা করে সংস্থাগুলো। এর মধ্যে তিন সংস্থার প্রতিবেদন হাইকোর্টে পেশ করেন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী সরকার এমআর হাসান। এ সময় রিটকারী পক্ষে ব্যারিস্টার অনীক আর হক উপস্থিত ছিলেন।
বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানি প্রাণ ডেইরীর প্রাণ মিল্ক, ব্র্যাক ডেইরীর আরং ডেইরী, আকিজের ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক, ড্যানিস ডেইরীর আয়ান, ইছামতি ডেইরীর পুরা, আমেরিকান ডেইরীর মু, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারীর সমবায় ইউনিয়নের মিল্ক ভিটা, আফতাব মিল্কের আফতাব, শিলাইদহ ডেইরীর আলট্রা, তানিয়া ডেইরীর তানিয়া, ঈগলু ডেইরীর ঈগলু, বারো আউলিয়া ডেইরীর ডেইরী ফ্রেশ, উত্তর বঙ্গ ডেইরীর মিল্ক ফ্রেশ, রাফি এন্ড ব্রাদার্সের কাউহেড পিউর মিল্ক ব্রান্ডের দুধ বাজারে রয়েছে।