১৫৮ কোম্পানির সাড়ে ৩৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস

সাড়ে ৩৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করেছে ১৫৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি। হাইকোর্টের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির প্রেক্ষিতে বাজার থেকে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংগ্রহ করে তা ধ্বংস করে কোম্পানিগুলো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সাড়ে চার হাজার ফার্মেসি পরিদর্শন করে ১৫২টি মামলা করেছে অধিদপ্তর। পাশাপাশি এক কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দাখিলকৃত এই প্রতিবেদন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে। গত ১৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে দেশের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকলে তা জব্দ করে এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করতে নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে এ ধরনের ওষুধ বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রেজিস্ট্রার্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধ কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংসের আদেশ দেয়। এরপরই অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালায়। অভিযানের পর প্রতিবেদন দিয়েছে তারা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ কোটি ৩১ লাখ ৪৬৭২ পিস বিভিন্ন ধরনের (ক্যাপসুল/ট্যাবলেট/বোতলজাত) ওষুধ সংগ্রহ করা হয়। এসব ওষুধের মূল্য ৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৭ টাকা। এছাড়া ৪ সহাজার ৫৮৭টি ফার্মেসি পরিদর্শন করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ৫টি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়েছে। ৫৬ জেলায় ১২৬টি জনসচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আলম ইত্তেফাককে বলেন, কোন ভাবেই ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় করতে দেয়া হবে না। কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। সম্ভাবনাময় এই খাতকে কোনভাবেই ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না।

‘ঢাকায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ’ শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ জুন ফার্মগেটের খামারবাড়িতে ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এ কথা বলেন। ওই প্রতিবেদন নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

Scroll to Top