খামারীরা যাতে গবাদিপশুর ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশে বাইরে থেকে গরুর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, দেশ এখন মাংসে স্বয়ংসর্ম্পূতা অর্জন করেছে। আগে প্রতি বছর ২৪ থেকে ২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও গত বছর মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে। দেশের পশুবিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়। তবে প্রাণীসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি। এরমধ্যে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশু।
উল্লেখ্য, গতবছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ। কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতন।
সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদে হাটবাজারগুলোতে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। ঢাকায় ২টি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারে ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধে এ টিম কাজ করবে।