বুড়িগঙ্গা নদীর শ্মশানঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিআইডব্লউটিএর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় একটি অবৈধ বালি মহাল উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার মুখ পড়ে অভিযানকারী দল। ঘটে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা।
বালি মহাল ও লোহার কয়েকটি অবৈধ স্তূপ এবং স্থাপনা উচ্ছেদ ঠেকাতে স্থানীয় বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে ইটপাটকেল ছোঁড়ে উচ্ছেদকারী দলের ওপর। এ সময় উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেওয়া বিআইডব্লউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ উদ্দিনসহ পাঁচ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। পরে ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিআইডব্লউটিএর ঢাকা নদী বন্দর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, তারা সকাল ৯ টা থেকে শ্মশানঘাট এলাকায় ৩০টির মত স্থাপনা উচ্ছেদ পর বাপ্পি ও রিপনের অবৈধ বালি মহাল ও ভাংরী লোহার স্তূপ সরিয়ে নিতে গেলে সকাল ১০টায় তাদের নেতৃত্বে ১০/১২ লাঠিসোটা নিয়ে উচ্ছেদ কাজে বাধা দেয় এবং ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
পরে পুলিশ বাপ্পি ও রিপনসহ তিনজনকে আটক করলে তাদের ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
ঘণ্টা ব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান ব্যাহত হলেও দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় উচ্ছেদ শুরু করে বিআইডব্লউটিএ। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত শ্যামপুর পর্যন্ত এক তলা বাড়ি ১৫টি, দোতলা বাড়ি একটি, আধাপাকা সেড ৪৫টি ও ২৯টি টিনসেটসহ ৯০টি অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উদ্ধার করা হয়েছে সাত একর সরকারি জমি এবং এক কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়ছে।
আগামী মঙ্গলবার শ্যামপুর থেকে পাগলা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর উভয়ে পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লউটিএ।