মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক জরুরি সভায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টু গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের বর্তমান সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার এই কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে যৌন নিপীড়নের মতো ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বৃস্পতিবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশ নেন। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক আরিফুর রহমান সেন্টুর বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম সারোয়ার তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।