রাঙ্গামাটি ও লালমনিরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫শ মানুষকে নেয়া হয়েছে। এদিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ব্যারাজ বাঁধ খুলে দেয়া ও পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাঙ্গামাটি: কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বাঘাইছড়ির ৬টি গ্রামের এক হাজার মানুষ। বারিবিন্দু ঘাটের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়েছে ৮৩ এমএসএল (মীনস সী লেভেল) অবস্থান করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় প্রতিনিয়ত পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড়ী ঢলে কাচালং নদীর পানি বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান হাবিব জিতু।

পাহাড় ধসে প্রাণহানি এড়াতে জেলা প্রশাসন শহরের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে শহরে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রায় ৫শ লোককে সড়িয়ে নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা (উপমা) জানান, রাঙ্গামাটি দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত আছে।

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট): ভারতের উজানে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ব্যারাজ বাঁধ খুলে দেয়া, পাহাড়ী ঢল আর গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে বন্যায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে তিস্তা চরাঞ্চলসহ সৈয়দপাড়া, সর্দারপাড়া, কাদেরের চর, আবুলের চর, বড়বাড়ী, মুন্সিপাড়া, আদর্শ গ্রাম, মহিমপাড়া, কাতিপাড়া, গুচ্ছগ্রাম ও নায়ারহাট এলাকায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে এখানকার অধিবাসীরা।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল জানান, ‘বন্যা কবলিত এলাকার জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানিয়ে জরুরি ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Scroll to Top