বিদায়ি অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যা তার আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় বিবিএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত জোগান থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিশেষ করে চাল, পেঁয়াজ, মরিচসহ উত্পাদন এবং সরবরাহ বেশি থাকায় মূল্যস্ফীতি কম হয়েছে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, মাসিক ভিত্তিতে গত জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশে, যা তার আগের মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
গ্রামীণ পর্যায়ে দেশে জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে একই ছিল।
জুন মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে, তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জুন মাসে শহরাঞ্চলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে, যা মে মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।