সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হন দেশটির প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মার্কিন গোয়েন্দা ও সিনেটরা সবাই সরাসরি আঙ্গুল তুলেছেন তার দিকে। এবার এ হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম ‘আশরাক আল-আসওয়াত’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রাউন প্রিন্স হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,যারা সাংবাদিক খাশোগির হত্যাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে, তাদের এখনই সাবধান হওয়া উচিত।
এএফপি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রাউন প্রিন্স বলেন,‘জামাল খাশোগির মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অপরাধ যারা করেছে তারা সকলেই সৌদি সরকারের কর্মকর্তা। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।’
৩৩ বছর বয়সী সৌদি যুবরাজ আরও বলেন,‘যারা এ বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তাদের এখনই থামা উচিত। সৌদি আদালত অভিযুক্তদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করবে।’
গত বছর ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌদির খ্যাতনামা সাংবাদিক খাশোগি। শুরু থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছে, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদির ঘাতক দলের সদস্যরা হত্যা করেছে। এদিকে খাশোগি হত্যার সঙ্গে বিশেষ ঘাতক দল জড়িত বলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেশটি একাধিক সংবাদমাধ্যম।
২০১৭ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতা গ্রহণের পর বিপাকে পড়েন খাশোগি। তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটন পোস্টে যুবরাজ মোহাম্মদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লেখেন। অভিযোগ উঠেছে,এর জেরে যুবরাজের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত খাশোগির মরদেহ পাওয়া যায়নি।
গত বছর ডিসেম্বরে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন তথ্য দিয়েছিলেন সৌদি আরবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ১৫ জন সৌদি কর্মকর্তার ইস্তানবুল যাওয়া, কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে ভয়ভীতি দেখানো এবং প্রতিরোধের মুখে টুকরো টুকরো করার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে তথ্য দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি