ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরোয়ানাভুক্ত আসামি ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় জাদুঘরে ‘তারুণ্য কথা’ নামের একটি সংগঠনের চিত্রকর্ম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে দেরি হচ্ছে। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি। গ্রেপ্তারে বিলম্বের কারণে পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এতে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।
মালিবাগ ও গুলিস্তানে পুলিশের ওপর ঘটনার তদন্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনার তদন্ত আমরা গুছিয়ে এনেছি। শিগগিরই এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।
ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোয় অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলার আসামি সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এর দিন দশেক আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। তারপর থেকে তিনি পলাতক।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি