২১ ক্যাটাগরির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে ‘আমদানি নীতি ২০১৮-২০২১’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নতুন এ আমদানি নীতিতে ২১ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের পাশপাশি বেশ কিছু নতুন পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমদানি নিষিদ্ধ ২১ পণ্য : নতুন আমদানি নীতিমালায় যে ২১ ক্যাটাগরির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- চিংড়ি মাছ, জীবিত শূকর ও শূকরজাত সব ধরনের পণ্য, পপি সিড ও পোস্ত দানা, ঘাস, ওয়াইন লিজ ও আরগোল, ঘন চিনি, কৃত্রিম সরিষার তেল, সেকেন্ডারি বা সাব-স্ট্যান্ডার্ন্ড কোয়ালিটি বা নিম্নমানের পণ্য অথবা পুরোনো, ব্যবহৃত, রিকন্ডিশন্ড পণ্য বা কারখানায় বাতিলকৃত বা স্টক লটের পণ্য, রিকন্ডিশন্ড অফিস ইক্যুইপমেন্ট (ফটোকপিয়ার, টাইপরাইটার, টেলেক্স, ফোন, ফ্যাক্স, পুরনো কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী ও পুরনো ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী), সব ধরনের শিল্প স্লাজ ও স্লাজ দিয়ে তৈরি সার ও যেকোনো সামগ্রী, সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমদানি নীতি ২০১৮-২০২১ তিন বছর মেয়াদি এ আমদানি নীতি উপস্থাপন করা হলে তা পর্যালোচনা শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতি তিন বছরের জন্য সরকার আমদানি নীতি প্রণয়ন করে। বিদ্যমান ‘আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮’ এর মেয়াদ গত বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কিন্তু নতুন আইন প্রণীত না হওয়ায় বিধান অনুযায়ী সেটিই এতদিন বিদ্যমান ছিল। নতুন নীতিমালার মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষ হবে।
আমদানি নিষিদ্ধ অন্যান্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে ‘স্টকহোম কনভেনশন অন পারসিসটেন্ট অর্গানিক পলিউটনেস’ (পিওপি) এর আওতাধীন বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক ও শিল্পজাত দ্রব্য (এলড্রিন, ক্লোরডেন, ডিডিটি, ডাই-এলড্রিন, এনড্রিন, হেপ্টাক্লোর, মিরেক্স, টক্সফেন, হেক্সক্লোরোবেনজিন, পলিক্লোরিনেটেড বাই-ফিনাইল ইত্যাদি), হাইড্রোলিক হর্নসহ ৭৫ ডেসিবলের ঊর্ধ্বমাত্রার সব হর্ন, পলিপ্রোপাইলিন ও পলিথিন ব্যাগ, দুই স্ট্রোক ইঞ্জিন ও চেসিস বিশিষ্ট ত্রি-হুইলার যানবাহন (টেম্পু ও অটোরিকশা ইত্যাদি), বাংলাদেশ সার্ভে ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের সীমারেখা দেখানো হয়নি এমন মানচিত্র, চার্ট ও ভৌগোলিক গ্লোব, হরর কমিকস, অশ্লীল ও নাশকতামূলক সাহিত্য পুস্তিকা, সংবাদ সাময়িকী, পোস্টার, ফটো, ফিল্ম, কাগজপত্র, অডিও-ভিডিও টেপ ইত্যাদি।
লেটেস্টবিডিনিউজ/ এসবিএন