শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করার পর আজ দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে দুরন্ত বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের নবম ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। প্রোটিয়াদের ২১ রানে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছে টাইগারবাহিনী। আত্মবিশ্বাসের সাথেই কিউইদের মোকাবেলা করতে নামবে মাশরাফির দল। বাংলাদেশের মত দুর্দান্ত জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে নিউজিল্যান্ডও। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শুরু হবে আজকের বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ।
গেল ২ জুন বিশ্বকাপে নিজেদের মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ফেভারিটের তকমাটা ছিলো প্রোটিয়াদের উপরই। কিন্তু ফেভারিটের তকমা ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে মাশরাফির দল।
ওভালের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। মুশফিকুর রহিমের ৮০ বলে ৭৮, সাকিব আল হাসানের ৮৪ বলে ৭৫ ও শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
জবাবে বাংলাদেশের দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিং ও দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান মেহেদি হাসানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং-এর সামনে লক্ষ্যে স্পর্শ করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করে ম্যাচ হারে প্রোটিয়ারা।
দুর্দান্ত জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করায় বাংলাদেশ দল এখন বেশ আত্মবিশ্বাসী। তারপরও প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের ব্যাপারে বেশ সর্তক বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে তেমনটাই বলেছিলেন ঐ ম্যাচের সেরা সাকিব, ‘নিউজিল্যান্ড খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ আমাদের জন্য।
কারণ তারা আইসিসি’র ইভেন্টগুলাতে সব সময় খুবই ভালো পারফরমেন্স করে। তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের খুবই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টি আমাদের অনেক কাজে দিবে পরের ম্যাচে।
কিন্তু এটিও মনে রাখতে হবে, নিউজিল্যান্ডও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে জিতেছে ভালো দলের বিপক্ষে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। যদি আমরা সবকিছু ঠিক-ঠাকভাবে করতে পারি, ফলাফল ভালো হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টি বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী রাখবে বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে টাইগার দলপতি বলেন, ‘আমাদের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আমাদের সেটি নিয়েই পরিকল্পনা করতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কি পরিকল্পনা করছি, সেগুলো ঠিক-ঠাক করতে পারছি কি-না এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের কাছে এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। আজকে জিতেছি, তাই আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে। তবে আমার কাছে মনে হয়, আরো বেশি চ্যালেঞ্জ আসবে।
ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বেশি অপেক্ষা করছে। তাই আরও বেশি পরিকল্পনা করে ব্যাটসম্যানরা কিভাবে বড় ইনিংস খেলবে সেদিকে ফোকাস হওয়া উচিত। সেই সাথে ম্যাচটি কিভাবে আরও ভালো খেলা যায়।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো কিছু স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। কিউইদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। এরমধ্যে ১০টিতে জয় ও ২৪টিতে হার। এরমধ্যে ২০১০ সালে দেশের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে জয়, ২০১৩ সালে আবারো দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
এছাড়া গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্র্রফিতে গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে কার্ডিফে কিউইদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলো বাংলাদেশ। তাই এমন সব স্মৃতি বাংলাদেশ দলকে আরও একটি বিজয়ের জন্য যে চাঙ্গা করবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
লেটেস্টবিডিনিউজ/ এসকে