ঈদুল ফিতরের দিন বুধবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা। ভোরে রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিললেও কিছুক্ষণের মধ্যে আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়, নামে বৃষ্টি। যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে বেরিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগকে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে।
রাজধানীতে সকাল পৌনে ৮টা থেকে নামে মুষলধারে বৃষ্টি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসে।
সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হয়। জাতীয় ঈদগাহে ত্রিপল থাকায় নামাজ আদায়ে সমস্যা হয়নি। তবে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে দুর্ভোগে পড়েছেন মুসল্লিরা।
জাতীয় ঈদগাহে দেশের প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
রাজধানীর যেসব স্থানে খোলা স্থানে ঈদের জামাত হওয়ার কথা ছিল, বৃষ্টির কারণে তার অনেকগুলো নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। কোথাও কোথাও খোলা স্থানের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিতে হয়েছে মুসল্লিদের।
কিশোরগঞ্জেও বৃষ্টি হওয়ায় শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে অংশ নিতে যাওয়া মুসল্লিরা দুর্ভোগে পড়েছেন। দূর-দূরান্ত থেকে নামাজে অংশ নিতে আগতরা বৃষ্টিতে হয়েছেন কাকভেজা।
ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হলেও দেশের সব অঞ্চলে সকালে বৃষ্টি হয়নি। তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, বুধবার ভোররাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
লেটেস্টবিডি নিউজ/কেএনবিপি