বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে-এমনটি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে, জাপানে ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি আরও বলেন, \’তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতকে যুগোপযোগি করার ফলে দেশে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, \’বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০৫০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের ২৩তম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। প্রতিবছরই বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। সরকারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার কারণে পোশাক শিল্প, চামড়াজাত পণ্যসহ উৎপাদনখাতের উন্নতি হচ্ছে।\’
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চরম উসকানি ও সংকেটের মধ্যেও আমরা সংলাপ এবং ঐকমত্য চেয়েছি। আমাদের অঞ্চলসহ বিশ্বের অন্যান্য সংকটময় পরিস্থতিতে বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও উন্নয়নের জন্য সংঘাত এড়ানো এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এটি শিক্ষণীয়।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাবে। আর এজন্য বহুপাক্ষিক সফলতায় প্রয়োজন এশীয় দেশগুলোর যৌথ পরিকল্পনা।
এদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আড়াইশ কোটি ডলার চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তির আওতায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে, সেগুলো হলো- মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প-১, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন-১), সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ প্রকল্প-২, জ্বালানি সক্ষমতা ও সংরক্ষণ উৎসাহিতকরণ অর্থায়ন প্রকল্প (ফেজ-২) ও মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প-৫।
এর আগে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের পক্ষে বলেও জানান।
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস