প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই খুলতে পারে। আগামী ৩০ ও ৩১ মে দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক থেকে এ সুখবর আসতে পারে বলে আশা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, দেড় লাখ টাকার মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে তার মন্ত্রণালয়। রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে গত ২০১৬ সালে বহুল আলোচিত জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক সই হয়। কিন্তু সইয়ের পর পরদিনই চুক্তিটি স্থগিত করে মালয়েশিয়া।
প্রায় এক বছর স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালের মার্চে জিটুজি প্লাসে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় যেতে কর্মী প্রতি সর্বোচ্চ এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। মাত্র ১০টি এজেন্সি কর্মী পাঠানোর কাজ পায়। যারা সিন্ডিকেট নামে পরিচিত পায়। কর্মী প্রতি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় দুই দেশের সিন্ডিকেট।
জিটুজি প্লাসে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর ক্ষমতায় এসে এ পদ্ধতি বাতিল করে দেয় মাহাথির মোহম্মদের সরকার। মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার খুলতে এরপর থেকে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আগে সরকার নির্ধারিত ব্যয় এক লাখ ৬০ হাজারের চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে কর্মীদের কাছ থেকে। চার থেকে থেকে পাঁচ লাখ টাকাও নেওয়া হয়েছে। এবার যেনো তা না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
এবারও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর কাজ নির্দিষ্ট কয়েকটি এজেন্সি পাবে কি না- এ প্রশ্নে ইমরান আহমেদ বলেন, কোনো সিন্ডিকেট হবে না। তবে কয়টি এজেন্সি কাজ পাবে তা পরিষ্কার করেননি প্রতিমন্ত্রী।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপন্থিত ছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রা\’র সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, প্রবাসী কল্যাণ সচিব রৌনক জাহান,, অতিরিক্ত সচিব মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা, জনশক্তিখাতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরবিএম\’র সভাপতি ফিরোজ মান্না ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক প্রমুখ।