গত রোববার তিনি যখন ইংল্যান্ডে ব্যাটিং করছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তার দুই বছর বয়সী কন্যা নুর ফাতিমা। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি ছোট্ট মেয়েকে। ইংল্যান্ডে বসেই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আসিফ আলি শুনলেন, তার প্রিয় কন্যাটি আর পৃথিবীতে নেই।
ট্র্যাজিক এই ঘটনা কাঁদিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। বাবা আসিফের মনের অবস্থা কি ছিলো তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় নিশ্চয়ই। যে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য অসুস্থ মেয়ের পাশে থাকতে পারলেন না, শেষবারের মতো দেখতে পারলেন না মেয়ের মুখ, সেই বিশ্বকাপ দলে ঠিকই পরে সুযোগ মিলেছে আসিফের। পরিবর্তিত ১৫ জনের স্কোয়াডে মারকুটে এই ব্যাটসম্যানকে নিয়েছেন নির্বাচকরা।
তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচ শেষ করেই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দলত্যাগ করেছিলেন আসিফ। সেখানেই শেষ করেছেন কন্যার শেষকৃত্য। ফয়সালাবাদে দাফন করা হয়েছে ১৯ মাস বয়সী ফাতিমাকে। সব কাজ শেষ করে গতকাল (শনিবার) জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে পুনরায় ইংল্যান্ডে উড়াল দিয়েছেন আসিফ।
তার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজ কন্যাকে যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে আসিফ লিখেন, ‘নূর ফাতেমাকে আমি যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করতে চাই। সে ছিল আমার শক্তি ও অনুপ্রেরণা। তার সুবাস আমি সব সময় বয়ে বেড়াবো। সে আজীবন আমার হৃদয়ে বসবাস করবে। আমি আবারো সবার কাছে আমার এই রাজকন্যার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।’
বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত পাকিস্তানের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আসিফ আলি। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করায় তাকে দলে নিয়েছে পিসিবি। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ১৬ ওয়ানডে খেলা আসিফ আলী ৩১.০৯ গড়ে ৩৪২ রান করেছেন।