যেকোন ইভেন্টের খেলোয়াড়ই দেশের জার্সি জড়িয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করতে উন্মুখ হয়ে থাকে। তবে ক্রিকেট বিশ্বে এমন কিছু ঘটনা আছে যা নিঃসন্দেহে বিরল বা কদাচিত হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যা ক্রিকেট ভক্তদের বিস্মিত করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে চারজন তারকা দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারা হলেন, ইয়ন মরগান, এড জয়েস, এন্ডারসন কামিন্স ও কেপলার ওয়েসেলস।
এক নজরে দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ক্রিকেটারররা:
১. ইয়ন মরগান (আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড): একসময় আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ইয়ন মরগান। সেই ধারাবাহিকতায় এ ডানহাতি ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে দেশটির জার্সিতে খেলেছিলেন। কিন্তু পরের বিশ্বকাপ ২০১১ থেকে তিনি খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। আসন্ন বিশ্বকাপে ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেয়া এ ক্রিকেটারের অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশরা।
২. এড জয়েস (ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড): মরগানের মতই একজন আইরিশ এড জয়েস। একজন মাঠ মাতিয়েছিলেন দেশটির জার্সিতে। কিন্তু দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাধে এ ব্যাটসম্যান মন কাঁড়েন ইংলিশদের। তাইতো ২০০৭ বিশ্বকাপে ব্রিটিশদের জার্সিতে মাঠেন। পরে ফের আয়ারল্যান্ডে ফেরেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে ছোট দেশটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।
আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৮ ওয়ানডে খেলেছেন জয়েস। ক্যারিয়ারে ১৫টি হাফসেঞ্চুরি ও ছয়টি সেঞ্চুরিসহ দুই হাজার ৬২২ রান করেছেন তিনি। গেল বছর মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।
৩. এন্ডারসন কামিন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কানাডা): ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এন্ডারসন কমিন্সের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। ১৯৯২ বিশ্বকাপে দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি। এরপর কানাডায় পাড়ি জমান। ২০০৭ বিশ্বকাপে দলটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন এ অলরাউন্ডার।
৪. কেপলার ওয়েসেলস (অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা): জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অজিদের জার্সিতেই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এরপর অবশ্য ১৯৯১ সালে জন্মভূমিতে ফেরেন। খেলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক ঐ টুর্নামেন্টে তিনি আবার দেন প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব। দলকে সেমফিাইনালে উন্নীত করেন।