হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না পাকিস্তান। টানা ১০ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে হারার পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে তারা। ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে গতকাল (শুক্রবার) আফগানদের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে সরফরাজ আহমেদের দল।
টসে জিতে আগে ব্যাট করে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজমের সেঞ্চুরির সুবাদে ২৬২ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু পায় আফগানিস্তান। পেসার শাহিন আফ্রিদির করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে একাই ৫ চার মারেন জাজাই। তবে ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে শাদাব খানের বলে শোয়েব মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। ফলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৮০ রানে। এরপর ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন দলের আরেক ওপেনার শাহজাদও।
তাতেও অবশ্য খেই হারায়নি গুলবাদিন নাইবের দল। রহমত শাহ, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও মোহাম্মদ নবীরা মাঝারি মানের ইনিংস খেলে আউট হতে থাকলেও, উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করতে থাকেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।
যদিও ইনিংসের শেষের দিকে এসে দ্রুত উইকেট হারিয়ে একসময় বেশ চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। তবে ফিফটি তুলে নেয়া শহীদি ম্যাচ শেষ করে আসতে ভুল করেননি। অপরাজিত ৭৪ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
এর আগে, শুরুতে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তান ইমাম উল হক আর ফাখর জামানের কল্যাণে উদ্বোধনী জুটিতে পায় ৪৭ রান। ইনিংসের নবম ওভারে ৩২ রান করে হামিদ হাসানের বলে ইমাম বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি।
পাকিস্তান ১০০ রানের মধ্যে হারায় টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে। তাদেরকে বড়সড় বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন বাবর আজম।
১২তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ নবী। তিন বলের ব্যবধানে ফাখর জামান (১৯) আর হারিস সোহেলকে (১) বোল্ড করেন আফগান এই অফস্পিনার। মোহাম্মদ হাফিজও বেশিদূর এগোতে পারেননি। রশিদ খানের শিকার হয়ে তিনি ফেরেন ১২ রানে। ১০০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে পাকিস্তান। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে দলকে বাঁচানো এক জুটি গড়েন বাবর আর শোয়েব মালিক। রানের জুটিটি ভাঙে শোয়েব মালিক (৪৪) হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে ধৈর্য্য হারালে। বাবর আজম একটা প্রান্ত ধরে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ রশিদের শিকার ১৩ রানে।
শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪৬তম ওভারে এসে বাবর আজমও সাজঘরে ফিরেছেন। ১০৮ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১১২ রান করে তিনি আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ইনিংস টিকেছে আর ১২ বল। আফগানিস্তানের পক্ষে বল হাতে ৪৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। ২৭ রানে ২ উইকেট রশিদ খানের।