এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। বেশ আগে থেকেই এ ধারণা করেছেন অনেকেই। তবে ইংল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতলেও অঘটন হবে না। নড়াইল এক্সপ্রেসের কথা সঙ্গে এবার সুর মিলিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অলরাউন্ডার বলেছেন, এবার বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।
১৯৯২ বিশ্বকাপের মতো এবার লিগ পর্বে সব দল সবার মুখোমুখি হবে একবার করে। সেখান থেকে পয়েন্ট টেবিলের ভিত্তিতে শীর্ষ চার দল উঠবে সেমিফাইনালে। এরপর জিতলেই ফাইনাল। তখন আর একটি ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব। এ সুবিধা থাকছে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দশ দলেরই। তবে সাকিব বলছেন, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের নকআউটে কিংবা আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে, ‘প্রকৃতই এবার আমাদের টুর্নামেন্ট জয়ের সুযোগ আছে বলে মনে করি। তবে অবশ্যই আমাদের ধারাবাহিক পারফর্ম করতে হবে। তা করতে পারলে নকআউট পর্বে উঠতে পারব এবং সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়া যাবে। এবার আমরা ভালো করব সে ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
সাকিব আশা করেন এবার বিশ্বকাপ জিতবে বাংলাদেশ। এজন্য অবশ্য অনেক কঠিন পথ অপেক্ষা করছে। যা পাড়ি দিতে চান এ অলরাউন্ডার, ‘বাংলাদেশ শিরোপা জিতবে অবশ্যই সে আশা করি। তবে এ জন্য একসঙ্গে অনেক কিছু কাজ করতে হবে। আইপিএলে আমি বেশি খেলিনি, বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিয়েছি। অনুশীলনে নিজের পুরোটাই নিংড়ে দিয়েছি।’
বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে ভালো করতে যে অভিজ্ঞতা দরকার এবার তা বাংলাদেশের আছে বলেই মনে করন সাকিব। তবে ধারাবাহিকতায় বেশি জরুরি মনে হয়েছে তার, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। দলে কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা তিন-চারটি বিশ্বকাপে খেলেছে। এটা ভালো ব্যাপার কারণ কি করা উচিত তা বুঝতে পারব। আমি আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের দিনে যে কোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে।’
দ্বাদশ বিশ্বকাপে অনেকেই ভারত ও ইংল্যান্ডকে হট ফেবারিটের তকমা দিয়েছেন। কিন্তু সাকিব বলছেন, ঐ তকমা বিশ্বকাপ জিততে পারবে না ভারত-ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট জিততে কঠোর হয়ে খেলতে হয়। অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঠিক সময় ভালো করছে। সত্যি বলতে, প্রতিটি দলই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত, ‘ইংল্যান্ড ও ভারত অবশ্যই ফেবারিট। তবে এ তকমা তাদের শিরোপা জেতাতে পারবে না। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট জিততে আপনাকে কঠোর হয়ে খেলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঠিক সময়মতো ভালো করছে। সত্যি বলতে, প্রতিটি দলই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট দিনে কে ভালো করবে তার ওপর সব নির্ভর করছে।’
বিশ্বকাপের মূল লড়াই শুরু হতে বাকি আর ৬ দিন। কিন্তু এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হবে আগামী ২ জুন। ঐদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে টিম টাইগার্স। তার আগে আগামী ২৬ মে পাকিস্তান ও ২৮ মে ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ঐ ম্যাচ দুটির ফলাফলই বলে দেবে দ্বাদশ বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের জন্য কতটুকু প্রস্তুত স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।